আমি দেহ মেলাবো টকটকে লাল ভলক্যানোতে,
আমি লাভার প্রতি বিন্দুর স্পর্শকে অনুভব করব।
আমি হঠাত সিন্ধু অতলে অম্লজানের বাধা এড়িয়ে,
হাঙরের সাথে খেলা করব, তিমির মাথায় হাত বুলোব।একদিন উকি দেব আলোকবর্ষ দূরের কৃষ্ণ গহ্বরে,
অভ্যন্তরে, আরো অভ্যন্তরে মিশমিশে কালোতে হারাবো।
Tag Archives: Bangla kobita
মোহ
হেরিলাম কত শহর, কত দেশ,
কত নক্ষত্র, কত গ্রহ!
সকল মোহ কাটাইলাম,
তবু কেন কাটে না তাহার মোহ!
মোহ, সে কখনও ভীষণ মধুর,
কখনও পশ্চিমা তাইপানের চেয়ে বিষধর!
সকল দেবীর মোহ কাটিল ক্ষণিকে,
তবু হাওয়ায় কেনো তাহারও স্বর!
ভয়ার্ত স্পর্শ
কবে আবার আকাশ ফাটল ধরা
বজ্রপাতের শব্দে-
লুকোবে আমার পাজরে?
কবে রসাইখানায় ইঁদুরের চাঞ্চল্যকে
অশরীরি ভেবে-
শক্ত করে জড়াবে আমায়?
কবে আবার জোর বাতাসে
দরজা বন্ধের আওয়াজে-
ছুটে আসবে আমার কাছে?
তোমার ক্ষণিকের ভয়,
যেন বেহেশতে অতিবাহিত সময়!
আবারো তোমার ভয়ার্ত স্পর্শের প্রতিক্ষায়….
দেহ
দেহ,
সে তো কেবল কাম মেটানোর জন্য,
আষাঢ়ে আলাপের জন্যে না।
আর প্রেম,
সে দেহ মানে না, রূপ মানে না,
কি মানে, তাও জানে না।
মানুষের ধ্বনি-৩
ধর্মের গন্ডি পেরিয়ে আমরা
কবে মানুষ হতে শিখব?
টুপি খুলে, সিঁদুর মুছে
কবে ধর্মের নাম মনুষ্যত্ব লিখব?
মানুষের ধ্বনি-২
‘ মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই ‘
শুনিলাম কতকাল।
‘ মানুষ মানুষ ভাই ভাই’
এমন মানুষের আকাল।
খোদা ভক্ত
তিলে তিলে খাদ্যাভাবে
মানুষ মরিছে সামনে।
সাহায্যের হাত গুটায় প্রার্থনার হাত তুলিলে,
ক্ষুধার্ত বাঁচিবে কেমনে?
খোদার সেজদায় নোয়াও মাথা,
ভগবানেরে করো পুজো।
ভিখারীরে দূর দূর তাড়ায়ে
তুমি খোদা ভক্ত সাজো?
গায়েবি জোরে অন্ন-বস্ত্র পায় কি
ঐ মসজিদ-মন্দিরের ভিখারী?
ইবাদতের নামে পান্জাবি কেনো,
পুজোর নামে শাড়ি!
মসজিদের সামনের উদাম উন্মাদ
ভাত না পেয়ে মুখে তোলে মাটি!
নাপাক দায়ে ইমাম সাহেব
হাতে তুলে নেয় লাঠি!
মানুষের ধ্বনি-১
পৃথিবী নামে এ কোন জগতে রাখিলাম পা,
চারিদিকে টুপি, মানুষের দেখা মেলে না।
জবান-মস্তক
আর কতকাল দেখব
হিন্দু-মুসলমানের লড়াই?
আর কতযুগ চলবে
মুহম্মদ-কনাইয়ের বড়াই?
মনুষ্যত্ব!
মুখে আনা পাপ!
জয় শ্রীরাম-আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে
জবান-মস্তক হারাই!